নজরুল সঙ্গীত - নজরুল সংগীত ও বাংলা ধ্রুপদী

Flowbite
Home কাজী নজরুল ইসলাম শফিক উদ্দিন আহমেদ ইউটিউব চ্যানেল|শফিক আহমেদ গান

৬টি নজরুল সঙ্গীত এর আদি রেকর্ড

মম মানস মাধবী লতার কুঞ্জে- (৯ম পর্ব) সহ ৬টি নজরুল সঙ্গীত এর আদি রেকর্ড:

  • মম মানস মাধবী লতার কুঞ্জে

  • বাদলা রাতে চাঁদ উঠেছে, কৃষ্ণ মেঘের কোলে রে

  • অঝোর ধারায় বর্ষা ঝরে সঘন তিমির রাতে

  • নিউমোনিয়ায় ভুগে ভুগে কোন ক্রমে সেরে উঠে।
  • "হোরির হররা", তাল: খচমচী
  • নিশুতি রাতের শশী গো

মম মানস মাধবী লতার কুঞ্জে, এই তো প্রথম মধুপ গুঞ্জে।
(নীল) মাধব তুমি এসো হে, হে মধু পিয়াসী চপল মধুপ
হৃদে এসো হে হৃদয়েশ হে।
তোমার আমার পথ চেয়ে হায় অভিমানে ফুল লুটায় ধূলায়
(নীল) মাধব তুমি এসো হে॥
বনমালী বিনে বন ফুল হার
(হায়) শকুাইয়া যায় আঁখি জলে তায় জিয়াইয়া রাখি কত আর।
চিতচোর এসো গোপন পায়ে
যেমন নবনী চুরি করে খেতে, এসো শ্যাম সেই গোপন পায়ে॥
না হয় নূপুর খুলিও
(শ্যাম) যমুনার থির নীরে বাঁশরির তনে না হয় লহরি না তুলিও।
(যেমন) নীরবে ফোটে ফুল,
যেমন নীরবে রেঙে ওঠে সন্ধ্যা গগন কুল।
এসো তেমনি গোপন পায়ে
অনুরাগ-ঘষা হয়ে চন্দন শুকায়ে যায়।
-কাজী নজরুল ইসলাম

বাদলা রাতে চাঁদ উঠেছে, কৃষ্ণ মেঘের কোলে রে।
ব্রজ পুরে তমাল ডালের ঝুলনাতে দোলে রে ।।
নীল চাঁদ আর সোনার চাঁদে
বাঁধা বন মালার ফাঁদে রে
এই চাঁদ হেসে আরেক চাঁদের অঙ্গে পড়ে ঢলে রে ।।
যুগল শশী হেরি গোপী কহে, বাদলা রাতই ভালো রে,
গোকুল এলো ব্রজে নেমে ধরা হল আলো রে ।
দেব-দেবীরা চরণ তলে
বৃষ্টি হয়ে পড়ে গেল রে
বেদ-গাথা সব নূপুর হয়ে রুনুঝুনু বোলে রে ।।

-কাজী নজরুল ইসলাম

অঝোর ধারায় বর্ষা ঝরে সঘন তিমির রাতে।
নিদ্রা নাহি তোমায় চাহি আমার নয়ন-পাতে॥
ভেজা মাটির গন্ধ সনে
তোমার স্মৃতি আনে মনে,
বাদলি হাওয়া লুটিয়ে কাঁদে আঁধার আঙিনাতে॥
হঠাৎ বনে আসল ফুলের বন্যা
পল্লবেরই কূলে,
নাগকেশরের সাথে কদম কেয়া
ফুটল দুলে দুলে।

নবীন আমন ধানের খেতে

হতাশ বায়ু ওঠে মেতে,
মন উড়ে যায় তোমার দেশে
পুব-হাওয়ারই সাথে॥

-কাজী নজরুল ইসলাম

নিউমোনিয়ায় ভুগে ভুগে কোন ক্রমে সেরে উঠে।

বউ-মেনিয়া রোগে এবার বেড়ান দাদা ছুটে ছুটে॥
যেদিন বাপের বাড়ি গেলেন রাগ ক’রে মোর বৌদিরানী,
দাদা আমার শয্যা নিলেনে ছেড়ে দিয়ে দানাপানি।
‘উঃ কী ঘন প্রেম’ বল্লে সবাই,
যত বুঝাই আমরা ক’ ভাই,
শুকিয়ে ততই গোবর-গণেশ দাদা আমার হ’লেন ঘুঁটে।
শুকিয়া দাদা হলেন (হায় হায়) ঘুঁটে॥
বউ-মেনিয়া রোগ সে ভীষণ! বউ বলে সে যাকে তাকে
যথায় তথায় ঠেসে ধরে, এমন কি ভীমরুলের চাকে।
সেদিন পাড়া ডোম্নী বুড়ি
এসেছিল বেচ্তে ঝুড়ি,
দৌড়ে দিয়ে বৌ ভেবে, তার পায়ে দাদা পড়ল লুটে॥
(ওরে) দামড়া সে এক ছিল শুয়ে আরাম ক’রে গলির মোড়ে
বৌদিরানীর বেণী ভেবে দাদা কাঁদেন তাহার ল্যাজুড় ধরে।
বলে – ‘ছাড়িএ সংসার কোথা চলে যাও দীনহীন বেশ ধরি এ’।
গিন্নী ধরার ভয়ে দাদার
ক্রমেই হ’ল পথচলা ভার।
এ পাড়াতে আসে না আর কাব্লিওয়ালা ঝাঁকামুটে॥

-কাজী নজরুল ইসলাম

"হোরির হররা", তাল: খচমচী

ছ্যারা রারা রারা রারা হোলি হ্যায় নিয়া কাদা মাটির তাল

খেলে হোরি ভূতের পাল।

নর্দমা হতে ছিটায় কর্দম

হর্দম 'কাহার' চাঁড়াল।।

দুই পাশের পথিকের গায়,

কাদা ছিটিয়ে মোটর যায়,

নল দিয়ে ঐ জল ছিটায়

ফুটপাথে উড়িয়া -দুলাল।।

-কাজী নজরুল ইসলাম


নিশুতি রাতের শশী গো।
ঘুমায়ে সকলে নিশীথ নিঝুম,
হরিল কে তব নয়নের ঘুম,
কার অভিসারে জাগো গগন-পারে
চাঁদ-ভোলানো সে কোন রূপসি॥
লুকায়ে হেরি আমি অভিসার তব,
তারকারা হেরে লুকায়ে নীরব,
কপট ঘুম ভাঙি হেরো হাসিছে সব
দূর অলকার বাতায়নে বসি॥

-কাজী নজরুল ইসলাম

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ